মোঃ মুবিনুল হক মুবিন ,নাইক্ষ্যংছড়ি,
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ইয়াবার গডফাদার কুখ্যাত মাদক কারবারি,সন্ত্রাসী ও মাষ্টার আবদুল হাকিম মাষ্টারের খুনসহ একাধিক মামলার আসামী বড় জাংছড়ি গ্রামের শফিকুর রহমান প্রকাশ ত্রাস বদিয়া কারাগারে। শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রামু থানার একটি মামলায় জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। খুনী বদিয়াসহ তারা ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে জি আর ১৪৬ /২০০০ ইং সনের একটি হত্যা মামলার চার্জ গঠন হয়ে বর্তমানে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। এছড়াও তাদের গোটা পরিবার এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামায় এক নামে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে রামু থানায় আরো দুইটি মারামারি ও হত্যার চেষ্টা অপর একটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও থানা ও কোর্টে ফরেস্ট মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বহু মামলার আসামী বিলিজার নামধারী খুনী, ত্রাস বদিয়া’র গ্রেপ্তারের খবরে ইউনিয়নের নতুন তিতার পাড়া, তার গ্রামের বাড়ী বড় জাংছড়িসহ কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। জানা যায় বদিয়া ও তার ভাই মন্জুর,মনিয়া,জাফর গত ১১ জানুয়ারি ইউনিয়নের নতুন তিতার পাড়াস্থ শাহ-সুজা সড়ক দিয়ে বিশাল একটি ইয়াবার চালান পাচার কালে বাধা প্রদান করেন কয়েকজন লোক। এছাড়াও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা ৩০/৩৫ জনের একটি দল পরিকল্পিত ভাবে বড় জাংছড়ি থেকে রাতের আধাঁরে নতুন তিতার পাড়ায় এসে হামলা চালিয়ে নতুন তিতার পাড়ার নিরাপরাধ ৭/৮ জনকে রাম দা,কিরিছ, লোহার রট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে গুরুতর অহত করে। এর দুই দিন পর আহত আবছার কামাল বাদী হয়ে রামু থানায় ১২ জন নামিয় ও ১৫ জন অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে বদিকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য বদিয়া বড় জাংছড়ি ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তায় প্রতিনিয়ত বন বিভাগ ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় করতেন। রবিবার সে কারাবন্দী হওয়ায় কচ্ছপিয়ার পুরো এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। এ বিষয়ে গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশের আইসি মোঃ ফরহাদ আলী’র মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সড়কে টাকা আদায়ের খবর ও বেশ কয়েকটি অভিযোগের কারণে তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করেন বলে জানান। আদালতে বন্দী হওয়ার খবরে তিনি এলাকার জন্য সুখবর বলে মনে করেন। অপর দিকে নিহত মাষ্টার আবদুল হাকিমের ছেলে তৈয়বসহ নিহতের পরিবার বদিয়া সহ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী করেন। ১১ জানুয়ারি ৭ নিরাপরাধ ব্যক্তি আহতের ঘটনায় আদালতের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করে রামুর গর্জনিয়া বাজারে গত ১৬ জানুয়ারী বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছিল এলাকার সাধারণ মানুষ।