মোঃ মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়িঃ
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বদু পাড়া গ্রামে আপন চাচাত ও জেঠাত দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে চলেছে দীর্ঘ বিরোধ। এ বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই বজলুর মেহের বড় ভাই হাবিব আহাম্মদ গংদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ বড় ভাইয়ের। এবিষয়ে স্থানীয় সিকান্দর,আবদু ছালামসহ অনেকে জানান হাবিব আহাম্মদের পিতা আলী হোসেন বাদী হয়ে আদালতে উক্ত জমির বিষয়ে আবু তাহের গংদের বিরুদ্ধে একটি মিছ মামলা করেন যার নং ৩/ ২০০৪ ইং সনে। ঐ মামলায় এম,আর,আর ২০৭ নং ও বি,এস ৮৬১ নং খতিয়ানের উক্ত জমি হাবিব আহাম্মদের পিতা আলী হোসেনের পক্ষে আদালত রায় দেন। ঐ রায়কে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে বজলুর মেহের ৮৬১ নং খতিয়ানের জমি তার পিতা নাজের মিয়ার বলে দাবী করে গেল ২২ মার্চ কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম,আর মামলা নং ৮৫২/২০২১ইং ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা চেয়ে আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এসিলেন্ট রামুকে সরেজমিনে তদন্ত করে মতামত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেন। অপর দিকে বিরোধীয় জায়গায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রামু থানাকে নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়টি নিয়ে একদল সাংবাদিক সড়জমিনে গেলে স্থানীয় সমাজপতি ও তৎকালীন বিচারক উলা মিয়া ও অছিউর রহমান জানান, আলী হোসেন’র ছেলে হাবিব আহাম্মদ ও নাজের মিয়া’র ছেলে বজলুর মেহের উভয়ের দাদা মৃত বদি উদ্দিন। তাদের দাদার আমল থেকে উক্ত জমি সামাজিক ভাবে বন্টন করে দেওয়া হয়। বন্টন মতে দুইজনই যার যার ওয়ারিস সূত্রে পাওয়া দখলিয়া জমিতে ভোগ দখলে আছে। অপর দিকে হাবিব আহাম্মদ গত এক বছর আগে তার পিতার ওয়ারিস সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি তাদের মধ্যে রিজার্ভের জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে হাবিব আহাম্মদ গং দের ঠেকাতে বজলুর মেহের একের পর এক হয়রানি মূলক মামলা করেন। গত ২২ মার্চ আদলতে করা আবেদনটি তার অংশ বিশেষ। তারা আরো জানান এর আগে বজলুর মেহের তার আপন ভাইয়ের ছেলে ও জেঠাত ভাই হাবিব আহাম্মদসহ এলাকার নিরহ আরো ৪ ব্যক্তি কে আসামী করে করা আরো একটি মামলা করেন। উক্ত মামলাটি বর্তমানে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে তদন্তাধীন আছে। এসব বিষয়ে হাবিব আহাম্মদ জানান এই ঘর গত বছর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি। এত দিন কেন বজলুর মেহের আদালতে ১৪৪ ধারা আবেদন করে নি? দীর্ঘ একটি বছর সে কোথায় ছিল?। নিশ্চয়ই আমাকে হয়রানি করতে গেল ২২ মার্চ আদালতে এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আমি যেখানে বাড়ী নির্মাণ করেছি ৮৬১ নং খতিয়ানের মালিক আমার বাবা। তাই আমি বিষয়টি যাছাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।